মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: টানা ৩৪ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের হস্তক্ষেপে বুধবার বিকেল ৫টা থেকে পুনরায় চালু হয়েছে। সমস্যা সমাধানে বুধবার দুপুরে বেনাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট এসোসিয়েশন ভবনে ব্যবসায়ী সংগঠনসহ বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের সাথে ভারতীয় বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে ড্রাইভারদের কাছ থেকে বকশিষের নামে অতিরিক্ত টাকা না নেয়ার সিদ্ধান্ত হলে বিকাল ৫টার দিকে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি পুনরায় চালু হয়। আমদানি-রপ্তানি চালু হওয়ায় বন্দরে কর্মচাজ্ঞল্য ফিরে এসেছে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন। এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যশোর-১ (শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব শামছুর রহমান ও বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী, ট্রান্সপোর্ট মালিক এসোসিয়েশন, ট্রাক চালক নেতৃবৃন্দসহ বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বেনাপোল কাষ্টম হাউজের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা জানান, দু‘দেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে সমঝোতা বৈঠকের পর বিকালে আমদানি-রপ্তানি চালু হয়েছে।
উল্লেখ্য ভারত থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে কোন ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলে বেনাপোল বন্দরে নানা পয়েন্টে বকশিষের নামে মোটা অংকের টাকা গুনতে হতো। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে ভারতের ব্যবসায়ীসহ ট্রাক শ্রমিকরা দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় উভয় বন্দর এলাকায় আটকা পড়ে শত শত পণ্য বোঝাই ট্রাক। যার অধিকাংশই বাংলাদেশের রপ্তানিমুখি গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল ও পচনশীল পণ্য।