রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ি ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের কাশমিয়া বিলের নির্জন স্থান থেকে নাজমা বেগম (৩০) নামে এক গার্মেন্স শ্রমিকের মুখ, কান ও গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে কালুখালি থানা পুলিশ। খুন হওয়া নাজমা একই ইউনিয়নের কুষ্টিয়াডাঙ্গী গ্রামের মানিক শেখের মেয়ে।
রবিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) খুন হওয়া নাজমা বেগমের পুত্র রনজু সাংবাদিকদের জানায়, ৩ দিন আগে তার মা পাংশার বাগদুলি এলাকায় বোনের বাড়ীতে বেড়াতে যায়। রবিবার বিকেলে বাগদুলি থেকে তার ফিরে আসার কথা ছিলো। কিন্তু রাতে সে বাড়ী ফেরেনি। সকালে তারা কোমরপুরের কাশমিয়ার বিলের মধ্যে তার মায়ের খুনের খবর জানতে পারে।
নিহতের পুত্রবধূ সাবিনা খাতুন জানায়, তার শ্বাশুরী ঢাকার একটি গার্মেন্স ফাক্টরীতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। গত সপ্তাহে সে ১০ দিনের ছুটিতে বাড়ী এসেছে।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ ২০১৯ সালের জুন মাসে একই স্হানে কালুখালির মোহনপুরের ভ্যানচালক রহিম খুন হয়েছিল।আবার একই ভাবে খুনিরা নাজমা বেগম ওরফে মনজুয়ারাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার করেছে। ফলে বোঝায় যায় আগের সব খুনের সাথে এই খুনের যথেষ্ট সম্পৃক্ততা রয়েছে। এছাড়াও এই ইউনিয়নে আরো এক যুবকের হত্যা করা হয়।
তবে এলাকাবাসীর তথ্যমতে, রবিউল হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ইউসুফ মেম্বর ও তার দুই পুত্র রহিম ও রবিউল গা ঢাকা দিয়েছে। তাদেরকে আজকে আর এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।
কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর ররহমান জানান, খুনিদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে। খুনি যতই চালাক হোক। তাকে আমরা খুজে বের করবোই।
গার্মেন্স শ্রমিক হত্যার খবর শুনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।