‘হাঙ্গর’। কক্সবাজারের জেলে পল্লীর জীবন ও স্থানীয় প্রভাবশালীর সঙ্গে জেলেদের দ্বন্দ্বের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ঈদের এ নাটকটি। মাহমুদ মাহিনের পরিচালনায় এতে জেলের ভূমিকায় অভিনয় করছেন মুশফিক আর ফারহান। আর তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন সামিরা খান মাহি। আর খল চরিত্রে দেখা মিলেছে শতাব্দী ওয়াদুদের। এর আগেও নানামাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় এসেছেন ফারহান। এবারো তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
তবে ‘হাঙ্গর’-এ ফারহানের পাশাপাশি যিনি নজর কেড়েছেন ও সম্ভাবনার জানান আরও একবার দিয়েছেন তিনি হলেন সামিরা খান মাহি। এই প্রথম একেবারে জেলেপল্লীর এক তরুণীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। জীবন যুদ্ধ সঙ্গে নিয়ে চলা ফারহানের ছায়াসঙ্গী হিসেবে এখানে অসাধারণভাবে নিজেকে মেলে ধরেছেন মাহি।
টানা কয়েকদিন কক্সবাজারে শুটিং হয়েছে এ নাটকটির।
এ নাটকে অভিনয়ের আগে মাহির হাতের একটি আঙুল কেটে যায়, যাতে তিনটি সেলাইও পড়ে। আর এ সেলাই নিয়েই ‘হাঙ্গর’-এ অভিনয় করেছেন তিনি। তার সাবলীল অভিনয় বেশ প্রশংসিত হচ্ছে দর্শকমহলে। মুখে কালি, সাধারণ বেশভূষা, কিন্তু অভিনয় যেন তার চোখে মুখে। তার এই সাবলীল অভিনয়ই জানান দিয়ে যায়, ভবিষ্যতে নাটকের জগতে বেশ শক্ত একটি অবস্থান বুঝি গড়তে যাচ্ছেন মাহি। এ নাটকে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে সামিরা খান মাহি বলেন, ‘হাঙ্গর’-এর শুটিং যখন করি তখন প্রচণ্ড গরম ছিল কক্সবাজারে। বালুতে শুটিং করতে হয়েছে সারাদিন। পা রাখা যাচ্ছিল না গরমে। ছাতা দিয়েও এ গরম রোধ করা যায় না।
শুঁটকি পল্লীতে যখন শুটিং করি প্রচণ্ড কষ্ট হয়েছিল। এরমধ্যে আমার আঙুলে স্টিচ ছিল। যার কারণে কষ্টটা বেশি ছিল। মাহি আরও বলেন, ডার্ক মেকআপ করেছি খুব। অনেকটা কালি টাইপের। নিজেকে নিজেই চিনতে পারিনি। তবে এটি অনএয়ার হওয়ার পর সব কষ্ট ভুলে গেছি। মনে হয়েছে আরেকটু ভালো করতে পারতাম। এ
দিকে এ নাটকের বাইরে মাবরুর রশীদ বান্নাহ পরিচালিত ‘তবুও ভালোবাসি’ নাটকটি গতকাল প্রচারে এসেছে। এখানে মাহি অভিনয় করেছেন তাহসানের বিপরীতে। এর বাইরে ‘কুরুম্যান’ নাটকে মাহিকে দেখা গেছে মোশাররফ করিমের বিপরীতে। এর বাইরে ‘নয়া লায়লা নয়া মজনু’ নাটকেও দেখা গেছে তাকে ঈদে।