রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার আসন্ন (১৬ জানুয়ারী) নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান মেয়র ও ২১ বছরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি মুক্তার আলীর পক্ষে নারী-পুরুষের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
আড়ানী পৌরসভা এলাকায় ভোট চাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিনই প্রচার-প্রচারণার চালিয়ে যাচ্ছেন। একদিন পর পর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় মিছিল-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন।বৃহষ্প্রতিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে আড়ানী ফুলমন নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যোগ দিয়েছে হাজার হাজার নারী-পুরুষ।
আড়ানী পৌর নির্বাচনে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসাবে মুক্তার আলী তার নির্বাচিত প্রতীক নারিকেল গাছ মার্কা নিয়ে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ করছেন। ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে। এ থেকে তিনি আশার বাণী শুনতে পাচ্ছেন ভোটারদের মুখে।
মুক্তার আলীর একনিষ্ঠ কর্মী নাজমুল হক ও আলহাজ শামিম সরকার বলেন , আমরা আগেও ভোট করেছি। তবে এবারের মতো গনজোয়ার আর কখনো দেখিনি। এর কারণ হিসাবে রেললাইনের উত্তর ও দক্ষিণের দীর্ঘদিনের দুরত্বই মূল কারন । অনেক আগ থেকে রেললাইনের উত্তর এবং দক্ষিণ প্রান্তের মানুষদের মধ্যে একটা দূরত্ব কাজ করে আসছে। এদিক থেকে এবার বড় দুই দলের দলীয় দুই প্রার্থী ভোট করছেন রেললাইনের উত্তর পাশ থেকে। সেখানে তিন কেন্দ্র মিলে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার। অপরদিকে উত্তর পাশে ভোটার রয়েছে প্রায় ১১ হাজার। এ থেকে বর্তমান মেয়র মুক্তার আলীর সমর্থকরা জয়ের স্বপ্ন দেখছেন।
আড়ানী ফুলমন নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাজার হাজার নারী-পুরুষ মুক্তার আলীর পক্ষে তার প্রতীক নারিকেল গাছ মার্কার শ্লোগান দিচ্ছেন।
মিছিল পূর্ব সমাবেশে মুক্তার আলী বলেন,আমি এতিম সন্তান,আমার বাবা মা নাই।আমি ছোটকাল থেকেই আপনাদের কাছে বড় হয়েছি।আপনারা আমার অভিভাবক। তাই আমি আমার মা বোনদের কাছে আর একবার দাবি আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আবার আমাকে মেয়র নির্বাচিত করবেন।আমার উন্নয়ন দৃশ্যমান। আমি আড়ানী পৌর মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে গত ৫ বছরে অসংখ্য উন্নয়ন করেছি । আমার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার কথা ছিলো। কিন্ত রাজনৈতিক ম্যারপ্যাঁচে সেটি হয়নি।
আমি আপনাদের ভালোবাসার মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। যাদের আমার প্রতি টান রয়েছে আমার বিশ্বাস, তারা আমার নির্বাচিত প্রতিক নারিকেল গাছ মার্কায় ভোট দিবেন। আমি আপনাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি, আমি যতোদিন বেঁচে থাকবো, আপনাদের খেদমত করে যাবো এবং মরার আগের দিন পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই বেঁচে থাকবো।