বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শিরোনামঃ
রাজশাহীতে জমি সংক্রান্তের জেরে মিথ‍্যা সংবাদ প্রকাশে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বাঘায় দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারের দাবিতে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন বাঘায় সমাজসেবার সানোয়ারের জাদুর কাঠিতে সুস্থ-সবল শত মানুষ এখন প্রতিবন্ধি সাভারের গান্ধারিয়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন বাঘায় নবাগত ইউএনও’র সাথে প্রধান শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ শিমুলতলা জোনাল অফিসে গ্রাহক হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগ বাঘায় সাংবাদিক পরিবারের উপর হামলা,থানায় মামলা ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামী কাউন্সিলর সাহেব আলীর শাস্তি চায় এলাকাবাসি মানবিক বাংলাদেশ চায় জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান সাভারে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত
নোটিশঃ
দেশব্যাপি জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি আবশ্যক। নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি/ সমমান পাস। যোগাযোগঃ 01715247336

আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম, শামিমা আকতার মিনুকে আর্থিক ক্ষমতা প্রনয়নের দাবি

আবুল কালাম আজাদ নিজস্ব প্রতিনিধি / ৪০২
নিউজ আপঃ বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১, ১২:৫৩ অপরাহ্ন

এর আগে পাংশা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল। কলেজের একাধিক শিক্ষক প্রতিবেদনে প্রকাশিত বিভিন্ন সমস্যার সত্যতা স্বীকার করেছেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেছেন সত্যিই আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম ও আর্থিক কাজ চালানো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একটি কলেজে অধ্যক্ষ না থাকলে প্রতিষ্ঠানটি নেতৃত্বসংকটে ভোগে। অধ্যক্ষ তাঁর সহকর্মীদের কাজ তদারক করেন। তিনি প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয়াদির দায়িত্বেও থাকেন। জানা গেল, ১০ হাজার শিক্ষার্থীর পাংশা কলেজে অধ্যক্ষ নেই প্রায় চার মাস। সে কলেজে গত ১১ ফেব্রুয়ারি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক শামিমা আকতার মিনুকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেলেও পাননি আর্থিক ক্ষমতা। সে ক্ষেত্রে কলেজটি কেমন চলছে, তা সহজেই বোধগম্য।
নেতৃত্ব ছাড়া সংগঠন হয় না। আর সে নেতৃত্বের সঙ্গে কিছু কর্তৃত্বও থাকে। নিয়মিত অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে কোনো একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও কর্তৃত্ব প্রয়োগে তিনি কিছুটা সংশয়ে রয়েছেন। নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রেও থাকবে ফাঁক। আর্থিক বিষয়াদির নিষ্পত্তিতে পদক্ষেপ না থাকা স্বাভাবিক নয়। আর্থিক পাওয়ার বিহীন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কার্যাবলী সামাল দেওয়াও যেকোনো অধ্যক্ষের জন্য একটি দুরূহ কাজ। যার প্রভাব এসে পড়ে শিক্ষা কার্যক্রমের উপর।
এমনিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অন্য সব ক্ষেত্রের মতো শিক্ষাব্যবস্থাকেও পর্যুদস্ত করে ফেলেছে। এর অবসানে কীভাবে হারানো সময়ের ক্ষতি পোষানো যায়, তার একটি ছকও একজন অধ্যক্ষ তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে করে রাখতে পারেন। কেউ কেউ হয়তো করেছেনও। তবে শিক্ষকের আর্থিক ক্ষমতা নেই, শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না সেখানে এমনটা আশা করা যথার্থ হবে না। এ পরিস্থিতি সৃষ্টির পেছনে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি অনুসারে কারণ কয়েক জন শিক্ষকের আর্থিক ও ক্ষমতার লোভ। সে ক্ষেত্রে বলতে হবে ব্যাপারটি শুধু দুঃখজনক নয়, অগ্রহণযোগ্যও বটে।
পাংশার এই কলেজটি যেহেতু সরকারি কলেজ, এখন পরিচালনার সামগ্রিক দায়িত্ব সরকারের। সেখানে অধ্যক্ষকে আর্থিক ক্ষমতা না দেওয়া থাকলে বিভিন্ন অর্থের সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কার্যক্রম থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়।
এই সরকারি কলেজে প্রায় ১০ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী শিক্ষা নিচ্ছে। আমাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা এগুলোকে পরিপূর্ণ সুন্দরভাবে চালানোর ক্ষেত্রে কোথাও কোথাও অন্তরায় হতে পারে। তবে কয়েকজন শিক্ষকের ক্ষমতা আর অর্থের লোভে আর্থিক পাওয়ার না থাকার জন্য তার প্রভাব শিক্ষা কার্যক্রমে পড়বে এমন হওয়ার কথা নয়।
এখানে যদি শিক্ষক রাজনীতি বা ব্যক্তিগত আক্রোশকে গুরুত্ব দেওয়া হয় তবে তার প্রভাব এসে পড়বে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর। এ অবস্থাটা এখন সর্বত্র বিরাজমান। সরকারি কলেজের এসব ক্ষেত্রে ভিন্ন কিছু হবে, এমনটা আশা করা হয়না। তবে আর্থিক ক্ষমতাটা পরে যদি হয় তবে সময়মতো হবে না কেন? এর কোনো গ্রহণযোগ্য জবাব কারও কাছে নেই।
এব্যাপারে উক্ত কলেজের একাধিক সাধারণ শিক্ষকের সাথে কথা হলে তারা জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে এখন পর্যন্ত আর্থিক ক্ষমতা প্রনয়ন করা হয়নি। যার জন্য আমরা আমাদের বেতন পাচ্ছিনা, অর্থের সাথে সংশ্লিষ্ট কলেজের বিভিন্ন কার্য পরিচালনা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চায় আমাদের সাধারণ শিক্ষক এবং এই প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামিমা আক্তার মিনুকে এই ক্ষমতা প্রদান করা হোক।


এই বিভাগের আরও খবর....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Share
Share